নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা লাউরফতেহ্পুর ইউনিয়নের ৯৪নং হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তলনের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মহিলা বিদ্যোৎসাহী সদস্য দেলোয়ারা বেগম ২৩ আগষ্ট বুধবার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারa নবীনগর বরাবর সাক্ষর জালের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮মাস যাবত আমার কাছে কোন নোটিশ বই বা রেজুলেশন খাতা আমার কাছে স্বাক্ষর এর জন্য আনা হয়নি। গত ২০ আগষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমার কাছে মিটিং এর সাক্ষরের জন্য আসেন। আমি স্বাক্ষরের কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মিটিং বিষয়ে স্বাক্ষর প্রয়োজন। স্বাক্ষর করার সময় দেখলাম নোটিশ খাতায় আমার অজান্তে আট মাস যাবত আমার জাল সাক্ষর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতের কথা বলেন।
এ বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক মকবুল হোসেন আমাকে অবগত করে জানান, টিআরের ৪লক্ষটাকা খরচ দেখানোর জন্য আপনার স্বাক্ষর প্রয়োজন।
এ ছারাও বিভিন্ন সময় আমার অনুপস্থিতে মিটিংয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে মিটিং পরিচালনা করে আসছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এই ব্যাপারে ৯৪নং হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ওবায়দুল্লাহ কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি রোগী নিয়ে ব্যস্ত স্বাক্ষর নিয়ে এমন ঘটনা আমার জানা নেই তবে উনার স্বামী স্বাক্ষর দিতে পারে প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারে বলে এরিয়ে যান।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্পা সুলতানা-কে মুঠোফোনে কল করলে তিনি ব্যস্ত আছেন এবং এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখেদিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তে সাপেক্ষে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।