নবীনগর নিউজ ডেস্ক:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নবীনগর উপজেলার (হলুদ দল)।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড, দারাজ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের সহযোগিতায় তিতাস নদীতে লক্ষাধিক দর্শকদের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দির গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৫ টি প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের চারটি, বিজয়নগর উপজেলার পাঁচটি, নবীনগর উপজেলার দুইটি, আশুগঞ্জ উপজেলার দুইটি, নাসিরনগর উপজেলার একটিসহ প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।
বিকেল ৩ টার দিকে শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম, এসিল্যান্ড মাহমুদা জাহান পপ্রমুখ।
নৌকা বাইস প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন নবীনগর, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন সরাইল ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন আশুগঞ্জ। পরে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে একলাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি উপহার দেন। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক টিমকে দেওয়া হয় নগদ ২৫ হাজার টাকা।
নৌকা বাইশ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইল কান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, নৌ-পুলিশ, ডুবুরিদল ও মেডিকেল টিম নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য এ সময় আকাশে ড্রোন উড়ানোর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।